মুর্শিদাবাদ: তপ্ত মুর্শিদাবাদে অবশেষে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস। দফায় দফায় রাজ্যপালের কনভয় আটকালেন স্থানীয়রা। গাড়ি ঘিরে ধরে জানালেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ। এলাকায় নিরাপত্তা নেই। স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প চাই বলেও দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনও অসুবিধা হলে সরাসরি তাঁকে ফোন করতে বলে আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। রাজভবনের পিস রুমের ফোন নম্বরও দিয়ে দেন তিনি। অন্যদিকে, বেতবোনে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে মালদা থেকে মুর্শিদাবাদে যান রাজ্যপাল। তারপর সোজা পৌঁছে যান খুন হওয়া পরিবারে। ওই পরিবারের বাবা ও ছেলেকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যপালকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান। রাজ্যপালও তাঁদের আশ্বাস দেন।
একই ছবি দেখা যায় ধুলিয়ানের ৫ ও ১৬ নম্বরচ্ছ ওয়ার্ডে। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্যপালেরথ্য গাড়ি ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। রীতিমতো চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায। তাঁদের দাবি, রাজ্য়পালকে ধুলিয়ানেও যেতে হবে। পাশাপাশি, নিরাপত্তা চেয়ে সরব হন তাঁরা। সেই দাবিতে অনেকেরই হাতে ছিল পোস্টার, প্ল্য়াকার্ড। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও একই ছবি দেখা যায়। এখানেও রাজ্যপালের কনভয় আটকান স্থানীয়রা। দাবিও এক, তাঁদের এলাকা ঘুরে দেখতে হবে। গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তার পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
শুক্রবার রাতে মালদার পাললালপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করার দাবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন স্থানীয়রা। সেই নিয়েও উত্তাল হয়ে উঠেছিল এলাকা। এই দিনও প্রায় একই ছবি দেখা গেল বেতবোনে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। চলতে থাকে স্লোগান।
স্থানীয়রা জানান, তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে কোনও দিন ফের এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে হবে। স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বস্ত করে রাজ্যপাল বলেন, ‘কোনও অসুবিধা হলে সরাসরি আমাকে ফোন করবেন।’ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্য সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক। এলাকায় শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।