রান্নায় জীবাণু কাটানো থেকে শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে লাজবাব হলুদ। এমনকি কোথাও কেটে গেলেও চুন হলুদ বা ব্যথা হলেও হলুদ জল শেখ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে জানেন কি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ম্যাজিকের মতো কাজ করে রান্নাঘরের এই মশলা। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ-এর একটি গবেষণাপত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
গবেষকদের দাবি, হলুদের কারকিউমিন যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বড় ভূমিকা নেয়। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে জবাব নেই হলুদের। কোথাও কেটে গেলে চুন-হলুদ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। শরীরের আর নানা উপকারে লাগে রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় মশলা। তাই বলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লাগবে? শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! অন্তত তেমনটাই দাবি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ’-এর একটি গবেষণাপত্রে।
এনআইএইচ-এর গবেষণা অনুযায়ী, হলুদ শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়ায়, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। আর্থ্রাইটিস, হাঁপানি, হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও কারকিউমিন উপযোগী।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, কাঁচা হলুদের রসে সামান্য নুন মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খেলে তা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে পারে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। হলুদ-চা বানিয়ে খেতে পারেন। দুধ বা জলে কাঁচা হলুদ, গোটা গোলমরিচ, দারচিনি দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে গরম গরম খেতে পারেন। এই চা কেবল কোলেস্টেরল কমাবে তাই নয়, সর্দিকাশির সমস্যা থেকেও রেহাই দেবে। এছাড়া জলে কাঁচা হলুদ ও আদা দিয়ে ফুটিয়ে তাতে গোটা গোলমরিচ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেতে পারেন। হলুদ-আদার চা শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে।
তবে কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের বেশি হলুদ না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজঅর্ডার-এর মতো জটিল সমস্যা থাকলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল।